Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Information

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক শিশু। জাতির আগামী দিনের কর্ণধার। এই শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাদের শারিরীক, মানসিক, সাংস্কৃতিক ও সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে ১৯৭৬ সনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় (Bangladesh Shishu Academy Ordinance, 1976)। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘শিশু আইন ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের শিশুদের সার্বিক উন্নয়ন এবং জাতীয় স্বার্থে শিশুদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উপলব্ধি থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

০২ জুন ১৯৮১ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরু থেকেই ময়মনসিংহ শিশুদের আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য এবং তাদের শারীরিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক ও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি অঙ্গীকারাবদ্ধ। জাতিসংঘ ঘোষিত ‘জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ’ এর সফল বাস্তবায়ন ও একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচীসমূহ বাস্তবায়নের জন্য এবং শিশুদের সকল প্রকার শোষণ ও নির্যাতন থেকে নিরাপদ রেখে বেঁচে থাকার অধিকার, পরিপূর্ণভাবে বিকাশের অধিকার, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টিসহ বৈষম্যহীন শিশুবান্ধব পরিবেশ তৈরীর মাধ্যমে শিশুর আলোকিত ভবিষ্যত বিনির্মাণে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীনে মাঠ পর্যায়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি,ময়মনসিংহ  জেলা কার্যালয় কাজ করে চলেছে।

আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মধ্য দিয়ে তাকে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল করে গড়ে তোলা এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যোগ্য মানুষ, যোগ্য নাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করা। শিশু অধিকার বাস্তবায়নে সরকারের অঙ্গিকারকে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা। জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের আলোকে শিশু অধিকার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আগামী দিনের নাগরিকদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়া। সরকার কর্তৃক গৃহীত নীতিমালায় প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা লাভ করছে এবং প্রাক শৈশব থেকে শুরু করে কৈশোর পর্যন্ত শিশুরা বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করছে।